ঢাকা শিক্ষা বোর্ড

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষকদের eTIF পূরণে জরুরী বিধি নিষেধ ও নির্দেশনা

প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা এর আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য অনলাইনে পরীক্ষক নিবন্ধন অর্থাৎ ইলেকট্রনিক টিচেরস ইনফর্মেশন ফর্ম (eTIF) পূরণ করতে হয় শিক্ষকদের। সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে পাবলিক পরীক্ষা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বোর্ড পরীক্ষক হতে অনলাইনে পূরণের কিছু জরুরী বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

১৩ অক্টোবর ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস.এম আমীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানদের অবগতির পরীক্ষক নিবন্ধন ফরম অর্থ্যাৎ ইলেকট্রনিক টিচেরস ইনফর্মেশন ফর্ম (eTIF) অনলাইনে পূরণ সংক্রান্ত এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

প্রকাশিত নির্দেশনা এর শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক টিচেরস ইনফর্মেশন ফর্ম (eTIF) পূরণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয় এবং এগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন না করলে শিক্ষকদের এবং প্রতিষ্ঠান চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সর্তকতা আরোপ করা হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষকদের eTIF পূরণে জরুরী বিধি নিষেধ ও নির্দেশনায় জানানো হয়-

১। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সকল শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গােপনীয় কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে eTIF পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরােধ করা হল। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সকল শিক্ষকদের eTIF পূরণ ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাষ্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও eTIF এর ডাটায় মাষ্টার ট্রেইনার এর কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গর্হিত অপরাধ।

সুতরাং যারা প্রকৃত পক্ষে মাষ্টার ট্রেইনার নয় তাঁরা অনতিবিলম্বে eTIF এর ডাটা থেকে মাষ্টার ট্রেইনার কলাম সংশােধন করুন, নতুবা এরূপ প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য আপনার বিরুদ্ধে বিধিমােতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান সত্যায়নকারীর দায়ে তিনিও দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমােদনকারী।

৩। আরাে দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষক তাঁদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট তথা এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, বি.এ, বি.এসসি, অনার্স, মাষ্টার্স, বি.এড, এম.এড, পিএইচডি ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি eTIF এর নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাকা রাখেন, অথচ প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। সুতরাং অবিলম্বে উক্ত কলাম সমূহে স্ব স্ব প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি এন্ট্রি করুন।

৪। First Joining এর ক্ষেত্রে অনেকে তাঁর বর্তমান স্কুল/কলেজে যােগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তাঁর শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।

উদাহরণ- একজন শিক্ষক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ৩৫ বছর কর্মরত আছেন তাহলে তাঁর অভিজ্ঞতা হবে ১৫বছর, এ ক্ষেত্রে বর্তমান স্কুল/কলেজে যােগদানের তারিখ দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করলে অভিজ্ঞতা ০৫বছর বিবেচনায় আসবে।

সুতরাং তাঁর First Joining হবে ১ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যােগদানের তারিখ, উল্লেখ্য প্রতি বছর সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্ট রয়েছে।

৫। শিক্ষকদের ডাটা পূরণের সময় অবশ্যই সােনালী ব্যাংকের (১৩ ডিজিটের) হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে।

৬। খন্ডকালীন, অনিয়মিত এবং অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য eTIF এ পূরণ করা যাবে না।

৭। যে শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন শুধুমাত্র সে বিষয়ই Select করতে পারবেন, অন্যথায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

৮। কলেজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে বিষয়ে অনার্স,মাষ্টার্স করেছেন সে বিষয়ই Select করতে পারবেন।

৯। শিক্ষকদের সকল সনদ, নিয়ােগপত্র ইত্যাদি তথ্য প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়ােজনে বাের্ড সেগুলাে তদন্ত করবে।

১০। কোন তথ্য গােপন বা অসত্য তথ্য সংযােজন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষকদের eTIF পূরণে জরুরী বিধি নিষেধ ও নির্দেশনা

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষকদের eTIF পূরণে জরুরী বিধি নিষেধ ও নির্দেশনাটি ডাউনলোড করুন

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ

সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ